Skip to main content

ভূত চতুর্দশী এর চৌদ্দ শাক

Bhoot Chaturdashi 14 Shaak Ayurvedic Importance : 

ভূত চতুর্দশীর ১৪ শাকই আয়ুর্বেদিক গুণে ভরপুর, জেনে নিন
Bhoot Chaturdashi 14 Shaak Ayurvedic Importance: আপনি কি জানেন যে এই ১৪ প্রকার শাক খাওয়ার সঙ্গে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক বৃহৎ সম্পর্কের কথা? আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের বিভিন্ন গ্রন্থ যেমন চরক সংহিতা, সুশ্রুত সংহিতা, অষ্টাঙ্গ হৃদয়, ভাবপ্রকাশ-এ ছত্রে ছত্রে যার বিশেষ বর্ণনা করা আছে। সেই বৈদিক যুগ ও পরবর্তী সময়ের টীকাগুলিতেও।

একদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে
এর মাঝেই কালীপুজো ও দীপাবলি
এই দীপাবলির আগে চতুর্দশীতে ১৪ প্রকার প্রদীপ জ্বালানো , ১৪ প্রকার শাক খাওয়ার রীতি বহু পুরাকাল থেকেই হিন্দু সমাজ ও সভ্যতায় চলে আসছে
Bhoot Chaturdashi 14 Shaak Ayurvedic Importance: একদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। অন্যদিকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য তৎপরতা। এর মাঝেই কালীপুজো ও দীপাবলি। আপামর দেশবাসী মেতে উঠবেন আলোর উৎসবে। এই দীপাবলির আগে চতুর্দশীতে ১৪ প্রকার প্রদীপ জ্বালানো , ১৪ প্রকার শাক খাওয়ার রীতি বহু পুরাকাল থেকেই হিন্দু সমাজ ও সভ্যতায় চলে আসছে।

কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই ১৪ প্রকার শাক খাওয়ার সঙ্গে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক বৃহৎ সম্পর্কের কথা? আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের বিভিন্ন গ্রন্থ যেমন চরক সংহিতা, সুশ্রুত সংহিতা, অষ্টাঙ্গ হৃদয়, ভাবপ্রকাশ-এ ছত্রে ছত্রে যার বিশেষ বর্ণনা করা আছে। সেই বৈদিক যুগ ও পরবর্তী সময়ের টীকাগুলিতেও।  

১৪ শাকে কী কী থাকে? 

এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের রাষ্ট্রীয় বালস্বাস্থ্য কার্যক্রম (RBSK)-এর মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমিত সুর জানান, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ১৪ শাক- এই শ্বব্দবন্ধ বা বর্ণনা না থাকলেও রঘুনন্দন ১৬ শতাব্দীতে তাঁর অষ্টবিংশতি তত্ত্বের অন্যতম গ্রন্থ "কৃত্যতত্ব্যে", যেখানে তিনি প্রাচীন স্মৃতির গ্রন্থ “নির্ণয়ামৃত”-এর অভিমত অণুসরণ করে এই ১৪প্রকার শাকের উল্লেখ করেছেন। সেগুলি হল-

১. ওল: বিজ্ঞানসম্মত নাম Amorphophallus paeoniifolius। গুরুত্বপূর্ণ কন্দজাতীয় উদ্ভিদটির কচি পাতা এবং কন্দ হিসেবে ওল সবার প্রিয়। মাটির নীচে থাকা কন্দ থেকেই পাতা জন্মায়। ওলের কন্দ অর্শ, প্লিহার বৃদ্ধির রোগ ও রক্তআমাশার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

২. কেঁউ: বিজ্ঞানসম্মত নাম Cheilocostus speciosus। এ হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উদ্ভিদ। ভারতে রাস্তার ধারে, পতিত জমিতে কেঁউ যথেষ্ট দেখা যায়। মাটির নীচে এর কন্দ জন্মায়। অসাধারণ ভেষজগুণের জন্য এই উদ্ভিদটি প্রাচীনকাল থেকে ভারতে সমাদৃত। নরম পাতা। কেঁউ পাতার রস ভাল হজমকারক ও ক্ষুধাবর্ধক। জ্বর, আমাশা, ডায়েরিয়া, কফ, কাটা-ছেঁড়া, ক্ষত, চর্মরোগ, আরথ্রাইটিস, কোষ্ঠকাঠিন্য, কুষ্ঠ, কৃমি, চুলকানি ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। 

৩. বেতো: বিজ্ঞানসম্মত নাম Chenopodium album। গ্রাম বাংলার খুব পরিচিত শাক হল বেথুয়া বা বেতো। আপনা-আপনি জন্মায় আগাছার মতো। পাতার রঙ ফ্যাকাশে সবুজ। বেথুয়া শাকে প্রচুর ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, লোহা, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও জিঙ্ক এবং গুরুত্বপূর্ণ ৮টি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। কোষ্ঠবদ্ধতা, রক্তাল্পতা, অম্বল, কৃমি, মুখে ঘা, ত্বকের রোগ, বাত ও অর্শ প্রতিরোধে বেথুয়া শাক খুব উপকারী। 

৪. কালকাসুন্দা: বিজ্ঞানসম্মত নাম Senna sophera। আদতে ক্রান্তীয় আমেরিকার এই গুল্ম জাতীয় গাছটি এখন সারা ভারতে রাস্তার দু’ধারে, সর্বত্র দেখা যায়। ভোজ্য অংশ হিসেবে নরম পাতা, অ্যালার্জি, কোষ্ঠবদ্ধতা, জ্বর, ও ক্ষত নিরাময়ে কালকাসুন্দার পাতার রস ব্যবহৃত হয়। 

৫. সরিষা বা সর্ষে: বিজ্ঞানসম্মত নাম Brassica juncea। সারা ভারতে বহুদিন ধরেই রবি শস্য হিসেবে এর চাষ হয়ে আসছে। গ্রিন স্যালাড হিসেবেও সর্ষে শাক কাঁচা খাওয়া হয়। আর মশলা হিসেবে সর্ষের ব্যবহার তো সারা ভারতেই প্রচলিত। ভিটামিন কে, ভিটামি সি এবং ভিটামিন ই এবং ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও লোহার সমৃদ্ধ উৎস হল এই শাক। 

৬. নিম: বিজ্ঞানসম্মত নাম Azadirachta indica। এই বহুবর্ষজীবী বৃক্ষটিকে আমরা সবাই চিনি। ভোজ্য অংশ হিসেবে কচি পাতা ও ফুল অধিক ব্যবহৃত । নিম পাতা বা পাতার রস কুষ্ঠ, চর্মরোগ, বহুমুত্র রোগের অন্যতম ওষুধ। 

৭. জয়ন্তী: বিজ্ঞানসম্মত নাম- Sesbania sesban। সংস্কৃত ‘জয়ন্তিকা’ শব্দ থেকে জয়ন্তী নামের উদ্ভব। কচি সবুজ টাটকা পাতা, দরাময়, বহুমূত্র, শ্বেতি, কৃমিনাশ, ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় কাজ করে। 

৮. শালিঞ্চ বা শিঞ্চে: বিজ্ঞানসম্মত নাম Alternanthera sessilis। অনেকে এই শাককে সাঁচিশাকও বলে। নীচু জমিতে সামান্য আর্দ্রতা থাকলেই সেখানে শালিঞ্চা জন্মায়। সাধারণ মানুষ একে আগাছা বলেই মনে করে। পাতাসহ ডগা খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চোখ, চুল ও ত্বকের জন্য শালিঞ্চা শাক খুব উপকারী। ডায়েরিয়া, অজীর্ন, চিকিৎসায় এই শাক খেলে উপকার হয়। এই শাক খেলে মায়ের স্তনদুগ্ধের পরিমাণ বাড়ে। 

৯. গুড়ুচী: বিজ্ঞানসম্মত নাম Tinospora cordifolia। হৃৎপিন্ড আকৃতির পাতা শাক হিসেবে খাওয়া হয়। ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রক একটি বছর ধরে অভিযান চালিয়ে ছিল এই গাছের গুণাবলী জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে। ডায়াবেটিস, যক্ষ্মা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বাত, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, হেপাটাইটিস, পেপটিক আলসার, গনোরিয়া, সিফিলিস, শোথ, জ্বর ইত্যদি নানা রোগের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় গুলঞ্চ ব্যবহৃত হয়। গুলঞ্চ শাক খেলে অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি পায় । 

১০. পটলপত্র: বিজ্ঞানসম্মত নাম Trichosanthes dioica। সবজি হিসেবে পটল যতটা জনপ্রিয়, শাক হিসেবে পটল পাতা বা পলতা ততটাই অপরিচিত। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বহুল রোগে ব্যবহৃত পাতা ও ফল রক্তবর্ধক ও রক্তশোধক হিসেবে এবং লিভার ও চর্ম রোগ সারাতে পটল পাতা খুব কার্যকর। ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে ব্যবহার হয়। পটল পাতা নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। পটল পাতা ক্ষিদে ও হজমশক্তি বাড়ায়। ক্ষতস্থানে পটল পাতার রস লাগালে তাড়াতাড়ি সারে।

১১. শেলুকা: বিজ্ঞানসম্মত নাম Anethum graveolens। কাঁচা গাছ ও বীজ মশলা হিসেবে রান্নায় ব্যবহৃত হয়। আর শাক হিসেবে ব্যবহৃত হয় পাতাসহ ডগা। সংস্কৃতে শুলফাকে বলে শতপুষ্প। ফুলের রঙ উজ্জ্বল হলুদ। পুরো গাছেরই একটা তীব্র সুগন্ধ আছে। বীজ সুমিষ্ট গন্ধযুক্ত ও স্বাদে তেতো। পাতাসহ ডগা এবং বীজ। মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বাড়াতে ও বাচ্চাদের পেটের রোগ সারাতে শুলফা শাক খুব উপকারী। বাচ্চাদের গ্রাইপ ওয়াটারের একটা উপাদান এই শুলফা শাক থেকে আসে। চোখের রোগ, চোখে ঘা, পুরানো ক্ষত, জ্বর ইত্যদি রোগের নিরাময়ে শুলফা খুবই কার্যকর। 

১২. হিঞ্চে: বিজ্ঞানসম্মত নাম Enhydra fluctuans। হেলেঞ্চা বা হিংচে হল জলজ লতানে গাছ। এর মূল জলাশয়ের পাড়ে কাদা-মাটির মধ্যে থাকে, আর আগা ছড়িয়ে পড়ে জলে বা কাদা মাটির উপর। আয়ুর্বেদে হেলেঞ্চাকে রক্তশোধক, পিত্তনাশক, ক্ষুধাবর্ধক, হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই শাক নিয়মিত খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ে। হেলেঞ্চা শাকে যথেষ্ট অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে তাই রোগপ্রতিরোধী ভূমিকা রয়েছে। মাথার যন্ত্রণায় মাথায় এই শাক বেটে লাগালে যন্ত্রণা কমে। হেলেঞ্চা শাক নিয়মিত খেলে ব্লাড সুগার কমে।

১৩. ঘেঁটু /ঘন্টাকর্ণ: বিজ্ঞানসম্মত নাম Clerodendrum infortunatum। ঘেঁটু হল ভেষজগুণসম্পন্ন বহুবর্ষজীবী গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। পাতায় প্রচুর ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে এছাড়া চুল পড়া, হাঁপানি, কফ, বাত, জ্বর, চর্মরোগ, লিভারের রোগ, ইত্যদি রোগ প্রতিরোধে ঘেঁটু পাতা খুব কার্যকর। ঘেঁটু পাতা বেটে ঘা বা ফোলা জায়গার ওপর লাগালে তাড়াতাড়ি সারে।

১৪. শুষনি: বিজ্ঞানসম্মত নাম Marsilea quadrifolia / Marsilea minuta। শুষনি হল উদ্ভিদ। ভারতসহ দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়া, চিন, মধ্য ও দক্ষিণ ইউরোপে শাক ও ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে শুষনি খুব পরিচিত। ভোজ্য অংশ পাতা, নিদ্রাহীনতায় যাঁরা ভোগেন তাঁদের নিয়মিত শুষনি শাক খেলে কাজ দেয়। এ ছাড়া নিয়মিত শুষনি শাক খেলে মাথার যন্ত্রণা, তীব্র মানসিক চাপ, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, গায়ে ব্যথা, পায়ের পেশির অনিয়ন্ত্রিত সংকোচন, বাত, জিভে ও মুখে ক্ষত, চর্মরোগ ইত্যদি দূর হয়।

Written by AVIJIT BASAK

Copied from Click Here

Comments

Popular posts from this blog

আরুণির গুরুভক্তি

প্রাচীন ভারতে শিক্ষার্থীদের গুরুগৃহে গিয়ে থেকে শিক্ষা গ্রহনের একটা রীতি ছিল। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো এবং নৈতিক মূল্যবোধের পাঠ পড়ানোর জন্য বৈদিক ঋষিরা আশ্রম প্রথার প্রচলন করেছিলেন। আশ্রমপ্রথা দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। একটি বর্ণাশ্রম, অন্যটি চতুরাশ্রম। কর্মের ভিত্তিতে সমাজে ব্রাহ্মন, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শুদ্র এই চার শ্রেনীর লোক বাস করত। মানুষের জীবনকালকে ভাগ করা হত ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ, বানপ্রস্থ ও সন্নাস এই চারটি শ্রেনীতে। ব্রহ্মচর্য পালনের সময় শিক্ষার্থীরা গুরুগৃহে যেত। পুঁথিগত বিদ্যা ও নৈতিক মূল্যবোধের পাঠ শেষ করে  নিজেদের বাড়িতে ফিরে এসে গার্হস্থ জীবনে প্রবেশ করত। শিক্ষার্থীরা গুরুগৃহকে নিজের বাড়ির মতোই মনে করত। গুরুও শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানের ন্যায় স্নেহ ভালবাসা দিতেন। আজকের গল্পটা মহান ঋষি বেদব্যাস রচিত মহাভারত গ্রন্থ থেকে গৃহীত। আজকের গল্প আরুনির উপাখ্যান বা আরুনির উদ্দালক হয়ে ওঠার কাহিনী।  পুরাকালে ভারতে অয়োদ ধৌম্য নামে এক ঋষি ছিলেন। তাঁর আশ্রমে ব্রহ্মচর্য পালনের জন্য শিক্ষার্থীরা আসত। আরুণি, উপমণ্যু এবং বেদ নামে তাঁর তিন শিষ্য ছিল। তখন বর্ষাকাল। জলের তোড়...

দশানন রাবণকৃত শ্রী শিবতান্ডব স্তোত্রম

দশানন রাবণকৃত শ্রী শিবতান্ডব স্তোত্রম বাংলা অনুবাদ সহ (১) জটাটবীগলজ্জল প্রবাহ পাবিতস্থলে গলেহবলম্ব‍্য লম্বিতাং ভূজঙ্গতুঙ্গমালিকাম । ডমড্ডমড্ডমড্ডমন্নিনাদবড্ডমর্বয়ং চকার চন্ডতান্ডবং তনোতু নঃ শিবঃ শিবম।।।।। । (২) জটাকটাহ সম্ভ্রম ভ্রমন্নিলিম্পনির্ঝরী বিলোল বীচিবল্লরী বীরাজমানমূদ্ধনি।। ধগদ্ধগদ্ধগজ্জলল্ললাট পট্রপাবকে কিশোরচন্দ্রশেখরেরতিঃ প্রতিক্ষণং মম।। (৩) ধরাধরেন্দ্রনন্দিনীবিলাসবন্ধুবন্ধুর স্ফুরদ্দিগন্ত সন্ততি প্রমোদ মানমানসে কৃপাকটাক্ষ ধোরণীনিরুদ্ধদুর্ধরাপদি ক্বচিদ্দিগম্বরেমনো বিনোদমেতুবস্তুনি।।।। (৪) জটাভুজঙ্গ পিঙ্গল স্ফুরৎফণামণিপপ্রভা কদম্বকঙ্কুমদ্রবপ্রলিপ্তদিগ্বধূমুখে।। মদান্ধসিন্ধুরস্ফুরত্ত্বগুত্তরীয়মেদুরে মনো বিনোদ মদ্ভূতং বিভর্তু ভূতভর্তরি।। (৫) সহস্রলোচনপ্রভৃত‍্যশেষলেখশেখর প্রসূনধূলিধোরণীবিধূসরাঙঘ্রিপীঠভূঃ। ভুজঙ্গরাজমালয়া নিবদ্ধজাটজূটকঃ শ্রিয়ৈ চিবায় জায়তাং চকোর বন্ধুশেখর।।।। (৬) ললাটচত্বরজ্বলদ্ধনঞ্জয়স্ফুলিঙ্গভা নিপীতপঞ্চসায়কং নমন্নিলিম্পনায়কম। সুদাময়ূখলেখয়াবিরাজমানশেখরং মহাকপালি সম্পদে শিরো জটালমস্তু নঃ।।।।। (৭) করালভাল পট্টিকাধগদ্ধগদ্ধগজ্জল দ্ধনঞ্জয়াহুতীকৃতপ্রচন্ড পঞ্...

বিষ্ণুর দশাবতার

বিষ্ণুর দশ অবতার এর নাম হল --- মৎস্য কূর্ম বরাহ নৃসিংহ বামন পরশুরাম রাম কৃষ্ণ বুদ্ধ কল্কি 1. মৎস্য অবতার মৎস্য ভগবান বিষ্ণুর প্রথম অবতার রূপ। এই অবতার রূপে সত্যযুগে বিষ্ণুর আবির্ভাব। পুরাণ অনুযায়ী পৃথিবীর প্রথম মানুষ মনুকে এক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে মৎস্য রূপে বিষ্ণু আবির্ভূত হন। শরীরের উপরের অংশ পুরুষ মানুষের মত কিন্তু নীচের অংশ মাছের মত। 2. কূর্ম অবতার কূর্ম ভগবান বিষ্ণুর দ্বিতীয় অবতার। সত্যযুগে এই অবতার রূপে বিষ্ণু আবির্ভূত হন। পুরাণে বলা হয় সমুদ্রমন্থনের সময়, মন্থন কালে মন্দর পর্বত সমুদ্রের নীচে ডুকে যাচ্ছিল। তাই সেই সময় বিষ্ণু কূর্ম অবতার অর্থাৎ কচ্চপের রূপে আবির্ভূত হয়ে পর্বত তাঁর পৃষ্ঠে ধারণ করেন। যার ফলে অমৃত প্রাপ্তি সম্পূর্ণ হয়। 3. বরাহ অবতার বন্য শূকরের রূপ ধারণ করেছিলেন ভগবান বিষ্ণু। এটি তাঁর তৃতীয় অবতার। বরাহ অবতারে তিনি সত্য যুগে আবির্ভূত হন। পুরাণ মতে পৃথিবীকে হিরণ্যাক্ষ নামক মহাশক্তিশালী অসুরের হাত থেকে রক্ষা করতে এই অবতার রূপে বিষ্ণু আসেন। অসুর পৃথিবীকে মহাজাগতিক সমুদ্রের নীচে লুকিয়ে রেখেছিলেন। বরাহ রুপী বিষ্ণু হিরণ্যাক্ষের সাথে ক্রমাগত হাজার বছর যুদ্ধ করে তাকে প...