“এতক্ষণ ধরে বোকার মত বসে ছিলি কেন? ঢেউ গুনতে পারিস নি? প্রতি ঢেঊয়ে সাত পয়সা করে হলে এতক্ষণে তুই লাখপতি হয়ে যেতিস, জানিস?” আমি বললুম, বোকার মত বসে থাকিনি তো। আমি তো ইলিশ মাছের নৌকো গুনছিলাম। ছোটোকাকা ছেড়ে দেবার লোক নন। বলল, সেটা অবশ্য ঠিকই করছিলি। তা কী করে বুঝলি কোন্ জেলেডিঙ্গি ইলিশের আর কোন্টা চিংড়ির? ওই যে, যে নৌকোর মেছোরা মাথায় গামছা পেঁচিয়েছিল সেগুলো ইলিশের, আমি জানি। জালে বাধা পেয়ে ইলিশেরা যখন উড়ুক্কু মাছের মত সাঁই সাঁই করে লাফিয়ে নৌকোয় ওঠে তখন ওদের ধারালো পেটির ঘায়ে মেছোদের মাথা কেটে যায় কিনা, তাই গামছা পেঁচিয়ে রাখে। আমি দেখেছি। ছোটোকাকা বলল, তা যখন এতোই জানিস, তাহলে মুখটা সবসময় অমন সাড়ে পাঁচের মত করে রাখিস কেন? পৌনে পনেরোর নামতা জানিস? আমি ম্লান হয়ে বললাম, পৌনে পনেরো কেন ছোটকা? পনেরো কি উনিশ বলো, আমি ঠিক পারব। ছোটোকাকা আমার কানে একটা প্যাঁচ দিয়ে বলল, না ঐ পৌনে পনেরোর ঘরের নামতাই বলতে হবে। আমি অখন অতিকষ্টে পৌনে পনেরো দুগুনে, ইয়ে মানে সাড়ে উনত্রিশ, পৌনে পনেরোত্তিনে (আবার ঢোঁক গিলে) সওয়া চুয়াল্লিশ এই করতে করতে যখন পৌনে পনেরোদ্দশে একশ সাড়ে সাতচল্লিশে থেমেছি, ছোটকাকা কিছু না বলে আম...