শুভ মহালয়া উইস করবেন না, প্লিজ। মহালয়া আর মহিষাসুর বধ এক নয়। মহালয়ার সাথে মহিষাসুরমর্দিনীর কোন সম্পর্ক শাস্ত্র মতে নেই। যোগাযোগটা নিছক আকাশবাণীর তৈরি করা। “আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর। ধরণীর বহিরাকাশে অন্তর্হিত মেঘমালা। প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমনবার্তা। আনন্দময়ী মহামায়ার পদধ্বনি অসীমছন্দে বেজে উঠে রূপলোক ও রসলোকে আনে নবভাবমাধুরীর সঞ্জীবন। তাই আনন্দিতা শ্যামলী মাতৃকার চিন্ময়ীকে মৃন্ময়ীতে আবাহন। আজ চিচ্ছক্তিরূপিণী বিশ্বজননীর শারদশ্রীবিমন্ডিতাপ্রতিমা মন্দিরে মন্দিরে ধ্যানবোধিতা।” সেই ১৯৩১ সাল থেকে এই ডাক শুনলেই বাঙালীর পুজো-পুজো দিন গোনা শুরু হয়ে হায়। যদিও প্রথমে যেদিন লাইভ হয়েছিল সেদিন ছিল মহাদুর্গাষষ্ঠী। পড়ে শ্রোতাদের অনুরোধে পরিবেশনের সময় ঠিক করা হয় মহালয়ার দিন। সম্প্রচারের আগের দিন নাকি দিন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ সারারাত থেকে যেতেন আকাশবাণী ভবনে আর অন্যান্যদের গাড়ি পাঠিয়ে মাঝ রাতে সময় বাড়ি থেকে তুলে আনা হত। যে বাঙালী আজ লেট নাইট পার্টি করে বেলা অবধি ঘুমায়, সেও বোধহয় এই মহালয়ার ভোরে উঠে পড়ে পঙ্কজ মল্লিক, বানীকুমার, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, প্রতিমা বন্দ...
NEVER GIVE UP...